বদরপুর ব্লকের অধীন কলস বাসাইল জিপিতে ভ্যাকসিনের জন্য দুর্ভোগের শিকার জনগণ।

বদরপুর ব্লকের অধীন কলস বাসাইল জিপিতে ভ্যাকসিনের জন্য দুর্ভোগের শিকার জনগণ।

বদরপুর ব্লকের অধীন কলস বাসাইল জিপিতে ভ্যাকসিনের জন্য দুর্ভোগের শিকার জনগণ।

কোভিদ ১৯ মহামারীর ভ্যাকসিনের যোগান চাহিদার তুলনায় অনেক কম হওয়ার কারণে জনগণের নানা দুর্ভোগ তো ছিলই বর্তমানে তা এলাকাভিত্তিক ঝগড়া-বিবাদের ও রূপ নিতে চলেছে ।সমাজের কিছু মানুষ এতটাই স্বার্থপর হয়ে উঠেছে যে নিজেদের চিন্তা ছাড়া অন্যান্যদের জন্য সামান্যতম ত্যাগ স্বীকার করতে রাজি নয় । এমনই এক চরম স্বার্থপরতার ঘটনা ঘটে গেল গত সোমবার বদরপুর ব্লকের অধীন কলস বাশাইল জিপির  ভ্যাকসিন সেন্টারে ভ্যাকসিন নেওয়ার জন্য গত সোমবার ভোর রাত থেকে মানুষের লাইন লাগে। লাইনে  মালুয়া - শ্রীগৌরী, হাসানপুর ও  মাছলি জি পির বিভিন্ন এলাকা থেকে ১৩ জন মানুষ ছিলেন যার মধ্যে ষাটোর্ধ্ব যেমন ছিলেন তেমনি কিছু শ্রমিক মানুষ ছিলেন যাদের বহির্রাজ্যে যাবার জন্য টিকিট কাটা ছিল।ভোররাত থেকে লাইনে দাঁড়িয়ে যখন কাউন্টারের প্রায় কাছাকাছি পৌঁছে গেছেন । সকাল ১২ টা নাগাদ  অত্র এলাকার কিছু মানুষ তখন দারুন স্বার্থপর হয়ে উঠেন এবং লাইনে দাঁড়ানো ওই ১৩ জনকে চিহ্নিত করে বের করে দেন । তারা যখন বলেন যে, ভোর পাঁচটা থেকে টানা ছয় ঘণ্টার মত লাইনের দাঁড়িয়ে ছিলেন দয়াকরে তাদের সুযোগ দেওয়া হোক । তখন উপস্থিত সাধারন মানুষের মনে সহমর্মিতা এলেও বেঁকে বসেন এলাকার কিছু মাতব্বর । এর মধ্যে একজন শিক্ষক একজন মৌলানা ( যার হাত তহবি ছিল) একজন প্রাক্তন সভাপতি  ( তিনি আবার হাজির সাহেব) ছিলেন এই  তিন জন মাতব্বর দস্তুরমতো দাদাগিরি শুরু করেন এবং কটুকথা উচ্চারণসহ অভদ্র ব্যবহার করতে থাকেন । আবেদন-নিবেদনের পাত্তা না দিয়ে বলেন নিজেদের জিপি তে যাও । নিজেদের জিপি ছেড়ে আমাদের এখানে কেন  এসেছ বলে প্রায় গলাধাক্কা দিয়ে বের করে দেন।
বিতাড়িত ওই ১৩ জনের মধ্যে আব্দুল মন্নান তফজ্জুল হোসেন, আহমদ আলী নেজামুদ্দিন প্রমূখ বলেন যদি এরকম এলাকাভিত্তিক দাদাগিরি চলতে দেওয়া হয় তবে ভ্যাকসিন নিয়ে মানুষের মধ্যে ঝগড়া-বিবাদ ভয়ঙ্কর রূপ নেবে তাই তারা উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণের আবেদন রাখেন । সেইসঙ্গে কোভিদ ১৯ ভ্যাকসিন সেন্টারগুলোকে পর্যাপ্ত পরিমাণে ভ্যাকসিন জোগান দেওয়ার আহ্বান জানান।

LEAVE A COMMENT

Comment