কাছাড়ের জেলাশাসক কীর্তি জল্লি সহ জেলা মীন বিভাগের আধিকারিকের উপস্থিতিতে মাছের খাদ্য সামগ্রী বিতরণ।

কাছাড়ের জেলাশাসক কীর্তি জল্লি সহ জেলা মীন বিভাগের আধিকারিকের উপস্থিতিতে মাছের খাদ্য সামগ্রী বিতরণ।

কাছাড়ের জেলাশাসক কীর্তি জল্লি সহ জেলা মীন বিভাগের আধিকারিকের উপস্থিতিতে মাছের খাদ্য সামগ্রী বিতরণ।

 ধলাই বিধানসভা সমষ্টির বড়জালেঙ্গা উন্নয়ন খণ্ডে বিশ্ব ব্যাংকের এপার্ট প্রকল্পের দ্বিতীয় কিস্থির ২০২০-২১ বছরের অধীনে বড়জালেঙ্গা ব্লক এবং তাপাং ব্লকের ৪ টি গ্রুপের মোট ৮৩ জন হিতাধিকারিদের  মধ্যে মাছের খাদ্য  এবং চূন বিতরন করা হয়।
শুক্রবার  বড়জালেঙ্গা গাঁও পঞ্চায়েতের অধীন ছোটজালেঙ্গা মাল্টিপারপাস হলে কাছাড়ের জেলাশাসক কীর্তি জাল্লি সহ জেলা মীনবিভাগের আধিকারিকের উপস্থিতিতে মাছের খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করা হয়। 

এদিনের বিতরনী অনুষ্ঠানকে সামনে রেখে এক সংক্ষিপ্ত  সভার আয়োজন করা হয় মাল্টিপারপাস হলে।
 অনুষ্ঠানে  বক্তব্য রাখেন জেলাশাসক  কীর্তি জাল্লি, তিনি প্রাপক হিতাধিকারিদের নিষ্ঠার সাথে মৎস উৎপাদনের প্রতি লক্ষ্য রেখে নিজেকে আত্মনির্ভরশীল গড়ে তুলতে এবং রাজ্যের মীন বিভাগের তরফে উপলব্ধি করা প্রত্যেক প্রকল্পের ভুয়সী প্রশংসা করেন। তিনি বলে বলে রাজ্যের মীন মন্ত্রী পরিমল শুক্লবৈদ্যের বিশেষ পদক্ষেপে আজ আসাম মৎস উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণ।
শুরুতে , জেলা মীনবিভাগের আধিকারিক রফিকুল হক উনার বক্তব্য রাখেন, তিনি   প্রগতিশীল মৎস্য চাষীদের বর্তমানের আসাম সরকারের দ্বারা রুপান্তরিত বিভিন্ন প্রকল্পের সঠিক লাভ উঠানোর জন্য আহবান করেন। তাছাড়াও তিনি নবপ্রজন্মকে মৎস্য চাষের দিকে আগ্রহ হতে এবং নিজেকে আত্মনির্ভরশীল গড়ে তুলতে আহবান জানান।  

বক্তব্য রাখতে গিয়ে  বড়জালেঙ্গা উন্নয়ন খণ্ডের আঞ্চলিক পঞ্চায়েত সভাপতি সুবোধ দাস, তিনি মীন বিভাগের বিভিন্ন যোজনা সহ যুগান্তকারী পদক্ষেপের কথা তুলে ধরেন।তিনি বলেন মন্ত্রী পরিমল শুক্লবৈদ্যের নেতৃত্বে রাজ্যে চালানি মাছের চাহিদা কমেছ। রাজ্যেই স্থানীয় মাছ উৎপাদন হচ্ছে পর্যাপ্ত । এখন আমাদের অন্ধ্রপ্রদেশ, ওডিশা ও পশ্চিম্বঙ্গের মাছের জন্য অপেক্ষা করতে হয় না।মৎস্য উৎপাদনের ক্ষেত্রে আসাম তথা আমাদের  বড়জালেঙ্গা খণ্ড উন্নয়নের নবপ্রজন্ম থেকে শুরু করে স্থানীয় মৎস্যচাষিরা স্বনির্ভরশীল হয়েছে। এখন পর্যন্ত ২.৯৪ লক্ষ মেট্রিক টন থেকে মাছের উৎপাদন বেড়েছে ৩.৯৩ লক্ষ মেট্রিক টন  এবং সব মাছগুলো সম্পুর্ন স্থানীয়ভাবে উৎপাদন হচ্ছে। বিভাগীয় মন্ত্রী পরিমল শুক্লবৈদ্যের  নেতৃত্বেই আসামের মীন বিভাগ চারটি জাতীয় স্তরের পুরষ্কার পেয়েছে।তিনি বলেন বড়জালেঙ্গা ব্লকে ৩০ টি ফিসারম্যান হাউস সহ প্রধানমন্ত্রী মৎস্য সম্পদ যোজনার অধীনে ইতিমধ্যে  মৎস্য চাষীদেরকে   বিনামূল্যে বীমা করানো হচ্ছে।মন্ত্রী পরিমল শুক্লবৈদ্যের প্রচেষ্টার ফলে ইতিমধ্যে ঘরে ঘরে পুকুরি ঘরে ঘরে মাছ নামে প্রকল্পের সুচনা সমগ্র রাজ্যজুড়ে ব্যাপকভাবে আরম্ভ হয়েছে। যা অদুরভবিষ্যতে মৎস উৎপাদনের ক্ষেত্রে যুব সমাজ স্বয়ং সম্পুর্ন হয়ে উঠবে। বড়জালেঙ্গা ব্লকের মৎস চাষিদের প্রতি আগ্রহ বাড়াতে রিসার্কুলেটারি একুয়াকালচার সিস্টেমের মতোন উন্নতমানের মৎস উৎপাদন প্রকল্পের সুচনা সহ বায়ো ফ্লকের মতোন প্রকল্পের সুচনা হয়েছে যা এক মাত্র সম্ভব হয়েছে ধলাই বিধানসভা সমষ্টি বিধায়ক তথা আসাম সরকারের বন ও পরিবেশ, মীন এবং আবগারি বিভাগের মন্ত্রী পরিমল শুক্লবৈদ্যের নিরলস প্রচেষ্টার ফলে।অনুষ্ঠানে প্রাসঙ্গিক বক্তব্য রাখেন বড়জালেঙ্গা ব্লক মণ্ডল বিজেপির সভাপতি সুশিল রঞ্জন ধর, পশ্চিম ধলাই জেলা পরিষদ সদস্যা লক্ষী রাণি যাদব, বড়জালেঙ্গা গাঁও পঞ্চায়েতের আঞ্চলিক পঞ্চায়েত সদস্যা বুল্টি দেব প্রমুখ।  এদিনের অনুষ্ঠানে অন্যান্য দের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন এপার্টের ইঞ্জিনিয়ার অশোক পাল চৌধুরী, টেকনিক্যাল বিশেষজ্ঞ টিংকু ফুকন,কাছাড় জেলা বিজেপির যুব মোর্চার মিডিয়া ইনচার্জ মহিতোষ তাঁতি,বড়জালেঙ্গা মণ্ডল বিজেপির সাধারণ সম্পাদক বিষ্ণু দয়াল গোয়ালা, ব্লক মণ্ডল যুব মোর্চার সভাপতি সুজিত কুমার দাস, সম্রাট চক্রবর্তী, সন্তোষ রায়,টিংকু দত্ত সহ অন্যান্যরা।

 

LEAVE A COMMENT

Comment