ত্রিপুরায় মসজিদ ভাঙচুর,অগ্নিসংযোগ মুসলমানদের ঘরে হামলা দোকানপাট পুড়িয়ে দেওয়া।

ত্রিপুরায় মসজিদ ভাঙচুর,অগ্নিসংযোগ  মুসলমানদের ঘরে হামলা দোকানপাট পুড়িয়ে দেওয়া।

দুষ্কৃতিকারীদের ৭২ ঘন্টার ভিতরে গ্রেপ্তার না করলে এমএসএফ সংগঠন মাঠে নামবে।

- বৈচিত্রের মধ্যে ঐক্য বিরাজমান ভারতবর্ষের শান্তিপ্রিয় মানুষ সর্বাবস্থায় জাতি, ধর্ম, ভাষা, বর্ণ নির্বিশেষে শান্তিতে
বসবাস করতে চায়।আর তাতে কিছু সন্ত্রাসী মনস্ক লোকরা অশান্তি সৃষ্টি করেছে মানব ধর্ম বলে হিন্দু ও মুসলমান জাতি দিয়ে।আর এরই পরিপ্রেক্ষিতে আজ ত্রিপুরাতে কট্টর হিন্দুত্ববাদীরা  মসজিদ ভাঙচুর করছে। তাই আজ করিমগঞ্জ জেলার মুসলিম স্টুডেন্ট ফেডারেশনের কর্মকর্তারা একখানা স্বরকপত্র  পাঠিয়েছে ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী, আসামের মুখ্যমন্ত্রী, ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী সহ করিমগঞ্জ জেলার জেলাধিপতি ও পুলিশ সুপারের কাছে, তাতে উল্লেখ রয়েছে সাম্প্রতিক কালে আমাদের পার্শ্ববর্তী রাষ্ট্র বাংলাদেশে পূজা মণ্ডপে কোরআন রাখা নিয়ে ভয়ানক অপ্রিতীকর ঘটনা ঘটেছিল। তার তীব্র নিন্দা ও ধিক্কার জানাচ্ছে এএসএফ এর কর্মকর্তারা ,।  হামলাকারীদের
উপযুক্ত শাস্তি প্রদান করতঃ সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে সে দেশের প্রধানমন্ত্রীর কাছে জোরালাে দাবী ও জানাচ্ছে । বাংলাদেশে ঘটে যাওয়া ঘটনাকে কেন্দ্র করে আমাদের দেশে প্রত্যেক ধর্মের মানুষইপ্রমূখ। প্রতিবাদ মিছিল করছেন। কিন্তু পার্শ্ববর্তী রাজ্য ত্রিপুরাতে কয়েকদিন ধরে হিন্দু ধর্মীয় সংগঠনগুলাে প্রতিবাদ মিছিলের মাঝে প্রশাসনের সামনে একের পর এক সংখ্যালঘু মুসলিমদের ধর্মীয় স্থান ভাঙচুর, মসজিদে আগুন, মুসলিমদের বাড়ী-ঘরে হামলা, মুসলিমদের দোকান পাটে আগুন জ্বালিয়ে ভস্ম করা হচ্ছে। সংখ্যালঘুরা আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন। সাম্প্রদায়ীক সম্প্রিতী বিনষ্ট হচ্ছে। তাই অবিলম্বে ত্রিপুরার সংখ্যালঘু মুসলিমদের জাতীয় নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতঃ দূষ্কৃতিদের ৭২ঘন্টার মধ্যে গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়ার দাবি জানাচ্ছে তারা । আগামী ৩ (তিন) দিনের মধ্যে দূষ্কৃতিদের চিহ্নিত করে গ্রেফতার করা ও সংখ্যালঘু মুসলিমদের নিরাপত্তা দেওয়ার জোরালাে দাবি জানাচ্ছে স্মারকপত্রে।

অন্যতায় গণতান্ত্রীক পদ্ধতিতে এএসএফ এর কর্মকর্তারা জাতিয় সড়ক এবং রেল অবরােধ করা হবে বলে উল্লেখ করেন। স্বরক পত্র প্রদানে উপস্থিত ছিলেন এম এস এফের বরাক উপত্যকার ইনচার্জ বদরুল হক, সুহেল আহমেদ, কাউজার হুসেন, জয়নাল উদ্দিন জাকারিয়া ,মবরুর প্রমূখ। 

LEAVE A COMMENT

Comment