যাত্রীসুরক্ষাকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে সুপারবাসেই চলছে কাচা সুপারি ।

যাত্রীসুরক্ষাকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে সুপারবাসেই চলছে কাচা সুপারি ।

যাত্রীসুরক্ষাকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে সুপারবাসেই চলছে কাচা সুপারি ।

মজা করে অনেকেই বলছেন, কয়লা-চুনাপাথর পারাপারে ব্যস্ত থাকায় সুপারি পরিবহণের জন্য লরির আকাল পড়েছে ! এই কৌতুক নিছক এমনি এমনি অর্থাৎ, কারণ ছাড়া নয়। আর হবেই না কেন, সুপার বাসগুলিতে পণ্য পরিবহণ নিষিদ্ধ হলেও পুলিশ ও সংশ্লিষ্ট বিভাগের নাকের ডগা দিয়ে চলছে অবৈধভাবে এ কাজ। অবৈধ সুপুরি থেকে শুরু করে বোঝাই বোঝাই লরি দিয়ে এখানকার বাজারে গুয়াহাটি ছাড়াও বহিঃরাজ্য থেকে চলছে পণ্য পারাপার। পরিবহণ আইনকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে যাত্রীসুরক্ষাকে হুমকির মুখে ফেলে সুপারবাসের ছাদ ও ডিকি বোঝাই করে মেঘালয় রুটে বরাক-ব্রহ্মপুত্রের মধ্যে চলছে সুপারি সহ নানা পণ্য চলাচল।এই চিত্র এতটাই স্বাভাবিক ও গা-সওয়া হয়ে গিয়েছে যে, যাত্রীরাও আর আপত্তি বা প্রতিবাদ করতে যান না সহসা। তথাপিও একাংশ সচেতন যাত্রী এই অবৈধ কাজকারবার নিয়ে আপত্তি তুললে তাঁর দিকে বাঁকা চোখে তাকিয়ে, নিন্দেমন্দ করে বাসকর্মীরা। এমন ঘটনা আখচার ঘটছে এমনকী, অসম রাজ্য পরিবহণ নিগমের ক্ষেত্রেও। নিগমের অধীনস্হ নাইটসুপারের বেশিরভাগই এ রকম নিয়মবহির্ভূত কাণ্ড চালিয়ে যাচ্ছে বরাক- ব্রহ্মপুত্র সড়ক পথে।  উল্লেখ্য, ঘনঘন দুর্ঘটনার পর গণ বিক্ষোভের জেরে পরিবহণ বিভাগ সুপারবাস চলাচলে কড়াকড়ি নীতি নির্ধারণ করতে বাধ্য হয় ক'বছর আগেই। তার আওতায় বাসের ছাদে মালপত্র বহণ নিষিদ্ধ হয়। যাত্রীদের নিজস্ব জিনিসপত্রের জন্য বরাদ্দ হয় ডিকি। কিন্তু শুরু থেকেই সেই নিয়মকে পাত্তা না দিয়ে ডিকিতে বাসচালক- কন্ডাক্টররা পণ্যবাহী যানবাহনের ধাঁচে নানাধরণের মালসামগ্রী বোঝাই করতে থাকেন। আপত্তি করলে যাত্রীদের নানা কটুকথা শোনানো হয়। কোনও কোনও সময় যাত্রীদের ভারি স্যুটকেস বা ব্যাগ ডিকিতে না তোলে নিজ নিজ আসনের তলায় ও তাকের ওপর রাখতে বাধ্য করা হয়। এতে খুব স্বাভাবিকভাবেই যাত্রী ও যান নিরাপত্তা ঝুঁকিতে পড়ে। তাছাড়া নিজের ভ্রমণসামগ্রীর জন্য যাত্রীদের সারাক্ষণ উদ্বেগে কাটাতে হয়। মসৃণ, নিরাপদ ও সুরক্ষিত যাত্রার পরিবর্তে চাপের মধ্যে কাটাতে হয় যাত্রাপথ। এ অবস্থা চলছে রীতিমতো সবার চোখের সামনে। যাত্রীবাহী বাস বিশেষত নাইটসুপারে করে এভাবে নিয়মবহির্ভূত সুপারি পারাপার বহাল থাকায় দুর্ঘটনার আশঙ্কা যেমন পদে পদে বাড়ছে , তেমনি যাত্রীদের গাঁটের কড়িতে তাঁদেরই ঝুঁকিপূর্ণ সফরের পথও সুগম করছেন লোভী বাসমালিক, চালক ও কন্ডাক্টর। এ নিয়ে যাত্রীক্ষোভ বিস্তর। তাঁদেরই একাংশ এরকম অনিয়মের বিরুদ্ধে রাজ্য পরিবহণ বিভাগ ও পুলিশের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন।  

 

LEAVE A COMMENT

Comment