প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে হত্যার ষড়যন্ত্র । পাঞ্জাবের কংগ্রেস শাসীত সরকারের বিরুদ্ধে ধিক্কার মিছিল বিজেপি কাছাড় জেলা যুব মোর্চার

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে হত্যার ষড়যন্ত্র । পাঞ্জাবের কংগ্রেস শাসীত সরকারের বিরুদ্ধে ধিক্কার মিছিল বিজেপি  কাছাড় জেলা যুব মোর্চার

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে হত্যার ষড়যন্ত্র । পাঞ্জাবের কংগ্রেস শাসীত সরকারের বিরুদ্ধে ধিক্কার মিছিল বিজেপি কাছাড় জেলা যুব মোর্চার

 
বুধবার  পঞ্জাবের একটি কর্মসুচিতে অংশগ্রহণ নিতে যাওয়ার সময় যাত্রাপথে একটি সেতুতে প্রায় ২০ মিনিট পরিকল্পিত ভাবে আটকে রাখা হয়েছিল ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিরকে।এনিয়ে সমগ্র দেশজুড়ে উত্তাল  ধিক্কার জানানো হচ্ছে পাঞ্জাবের কংগ্রেস শাসীত সরকারের উপর। সেই পরিপ্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার সমগ্র দেশজুড়ে ভারতীয় জনতা পার্টির যুব মোর্চার উদ্দ্যেগে মিছিল করার সাথে সাথে কাছাড় জেলাতেও বর্ণাঢ় ধিক্কার মশাল মিছিল আয়োজন করা হয়। এদিন বিকেল ৬ ঘটিকায় ইটখলা স্থিত কাছাড় জেলা বিজেপির কার্য্যালয় থেকে মিছিল আরম্ভ হয়ে দেবদূত পয়েন্ট হয়ে পার্ক রোড পরিক্রমা করে "কংগ্রেস সরকার হায় হায়, কংগ্রেস পাকিস্তান ভাই ভাই মোদিকে দেখলে ভয় পায়" স্লোগানের মাধ্যমে শিলচর শহর কাঁপিয়ে জেলা কংগ্রেস কার্যালয়ের সামনে গিয়ে স্লোগান দিয়ে কংগ্রেস অফিসের চত্ত্বর কাঁপান জেলা বিজেপির যুব মোর্চার সদস্যরা। এদিন প্রায় পাঁচ শতাধিক যুব মোর্চার সদস্যরা হাতে প্লেকার্ড সহ মশাল নিয়ে মিছিলে অংশগ্রহণ করেন।
এদিকে সংবাদ মাধ্যমে বক্তব্য রাখতে গিয়ে জেলা যুব মোর্চার সভাপতি অমিতেশ চক্রবর্তী বলেন, ভারতের যশস্বী প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে পাঞ্জাব সরকার পুরো পুরি পরিকল্পিত ভাবে হত্যার ষড়যন্ত্র করেছিল। প্রধানমন্ত্রী যখন কোন রাজ্য সফরে যান তখন উনার সম্পুর্ন সুরক্ষার দায়িত্ব থাকে রাজ্যের 
বিশেষ পুলিশের উপর কারন তিনি দেশের প্রধানমন্ত্রী, কোনও দলের নন। কিন্তু পাঞ্জবের কংগ্রেস শাসীত সরকারের নিকৃষ্টতা দেখে মনে হচ্ছে উনার পাকিস্তানের আদর্স নিয়ে চলছে। 
পুরো পুরি পরিকল্পিত ভাবে একদল বিক্ষোভকারী বিক্ষোভ প্রদশর্ন করছে এবং প্রধানমন্ত্রী কনভয়ে ঢোকার চেষ্টা করছে কিন্তু পাঞ্জাব পুলিশ নীরব দর্শক হয়ে রইল। যারফলে হোসেনওয়ালার জাতীয় স্মরক থেকে মাত্র ৩০ কিলোমিটার দূরে থেকে কনভয় ঘুরিয়ে আনতে বাধ্য হয় এসপিজি। 
অমিতেশ বাবু আরও বলেন, এদিকে প্রধানমন্ত্রীর কনভয় যখন আটকে দেওয়া হয়,তখন বিজেপি রাষ্টীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা  পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী কে ফোন করেন কিন্তু আধঘন্টা ধরে ফোন করার পরও তিনি ফোন ধরেন না। এর মানে কী দাঁড়ায়? এই পরিকল্পিত রাস্তা ব্লক করে বিক্ষোভ সৃষ্টি করে কংগ্রেস ভারতের প্রধানমন্ত্রী কে গুরুতর ভাবে ক্ষতি করার চেষ্টা চালিয়েছিল। না হলে পুলিশ কেন নিস্ক্রিয় হয়ে রইল।এট তো প্রধানমন্ত্রীর কনভয় ছিল,তাঁর কনভয়ে এরকম ভাবে বাধা দেওয়া যায় আর পুলিশ নীরব দর্শক হয়ে থাকতে পারে?আসলে এট একটা পরিস্কার ষড়যন্ত্র। পাঞ্জাবের উন্নয়নে বাঁধা শৃষ্টি করার পরিকল্পনা ছিল কংগ্রেস শাসীত পঞ্জাব সরকারের। তিনি আরও বলেন ভারতের ১৩০ কোটি জনগণের আর্শিবাদ রয়েছে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির উপর তাঁকে কোন অশুভ শক্তি কংগ্রেসের মতন দালাল রাজনৈতিক দল অনিষ্ট করতে পারবে না। 
এদিকে কংগ্রেসের এই নিন্দনীয় কাণ্ডের তীব্র ভাবে ধিক্কার জানান জেলা বিজেপির সভাপতি বিমলেন্দু রায়, রাজ্য বিজেপির সম্পাদক কনাদ পুরকায়স্থ। উভয়েই কংগ্রেসের এই চক্রান্তকারী ঘটনার উচিত তদন্ত এবং পঞ্জাবের মূখ্যমন্ত্রী চরণজীৎ সিং চান্নি সরকারের পরিকল্পিত নেক্কার জনক কাণ্ডের তীব্র ভাবে সমালোচনা করে উপযুক্ত তদন্তের দাবি জানিয়েছেন। এদিনের মশাল মিছিলে অন্যান্য দের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন কাছাড় জেলা বিজেপির সহ-সভাপতি রাজেশ কুমার দাস, সম্পাদক সৌমিত্র কুমার দেব, জেলা যুব মোর্চার সহ-সভাপতি রঞ্জিত রায়, সুকান্ত শুক্লবৈদ্য,নীলাঞ্জন ভট্টচার্য,বিমল দাস,সাধারণ সম্পাদক সোহম ঠাকুর,সুচন্দ চক্রবর্তী, সম্পাদক মোহিতোষ তাঁতি,শুভম রায়,বৈশালি দত্ত রায়, কোষধক্ষ্য অর্কদ্বীপ ভট্টচার্য, শান্তনু রায়, সহ মণ্ডল স্থরের সদস্যরাও অংশগ্রহণ করেন।
( হাইলাকান্দি থেকে সিপ্রীয়ান ডায়াসের প্রতিবেদন )

LEAVE A COMMENT

Comment