বিজেপি দল বিশ্বাসঘাতকতা করেছে বললেন নির্দলীয় প্রার্থী বিক্ষুব্ধ নেতা ক্ষিতিশ রঞ্জন পাল।

বিজেপি দল বিশ্বাসঘাতকতা করেছে বললেন নির্দলীয় প্রার্থী বিক্ষুব্ধ নেতা ক্ষিতিশ রঞ্জন পাল।

বিজেপি দল বিশ্বাসঘাতকতা করেছে বললেন নির্দলীয় প্রার্থী বিক্ষুব্ধ নেতা ক্ষিতিশ রঞ্জন পাল।

 বিজেপি দল আমার সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছে বললেন বিজেপির টিকিট বঞ্চিত এবং সদ্য বিজেপি দল থেকে পদত্যাগ করা মধ্য হাইলাকান্দি বিধানসভা সমষ্টির নির্দলীয় প্রার্থী তথা বিক্ষুব্ধ নেতা ক্ষিতিশ রঞ্জন পাল।  তিনি এই প্রতিবেদককে এক বার্তায় ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন যে তিনি ২০১১ সনে বিজেপিতে প্রথম যোগদান করেন। এরপূর্বে তিনি বিশ্ব হিন্দু পরিষদের হাইলাকান্দি জেলা কমিটির সভাপতি ছিলেন। হাইলাকান্দি বিজেপি দলকে আরো শক্তিশালী করার উদ্দেশ্যে বিজেপি কর্মকর্তারা তাকে বিশ্বহিন্দু পরিষদ থেকে বিজেপি দলে নিয়ে আসেন। এরপর বিজেপির পদাধিকারীরা তাদের স্বার্থ চরিতার্থ করতে তাকে জেলা বিজেপি কমিটির সভাপতিও নিযুক্ত করেন। তিনি দীর্ঘ ১০ বৎসর যাবৎ বিজেপি দলের একনিষ্ট কর্মী হিসেবে অত্যন্ত নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করে গেছেন। কিন্তু বিজেপি দল উনার সঙ্গে একবার নয় দুইবার বিশ্বাসঘাতকতা করেছে। তিনি জানান যে ২০১৬ তে বিধানসভা নির্বাচনে উনার বিজেপি দল থেকে টিকিট পাবার কথা ছিল। কিন্তু তখনও বিজেপি দল তার সঙ্গে প্রতারণা করে করিমগঞ্জ জেলার রামকৃষ্ণ নগর থেকে শৌকত দত্ত চৌধুরীকে মধ্য হাইলাকান্দি বিধানসভা সমষ্টির বিজেপির দলীয় টিকিট প্রদান করে। এবারও একুশের বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির দলীয় টিকিট প্রত্যাশীদের মধ্যে তিনি শীর্ষস্থানে ছিলেন। নতুন দিল্লির বিজেপির উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছ থেকেও তিনি সবুজ সংকেত পেয়েছিলেন। এরপর নতুন দিল্লি থেকে উনার নাম আসে গৌহাটিতে এবং সেখানে তিনি চর্চার প্রথমস্থানে ছিলেন। কিন্তু পরবর্তীতে বরাক উপত্যকার শিলচরে উনার নাম আসার পর ষড়যন্ত্রমূলক ভাবে উনার নাম কেটে বাদ দিয়ে দেওয়া হয়। তিনি আরো বলেন যে বিজেপি দলের এই বিশ্বাসঘাতকতার ফলে তিনি অত্যন্ত মর্মাহত হয়ে বিজেপি দলে থেকে পদত্যাগ করে জনতার আদালতে সুবিচার চেয়ে নির্দলীয় প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অবর্তীর্ণ হয়েছেন। বিক্ষুব্ধ নেতা ক্ষিতিশবাবুর প্রশ্ন মধ্য হাইলাকান্দি বিধানসভা সমষ্টিতে কি একজনও যোগ্য প্রার্থী নেই যে বিজেপি দল ভূমিপুত্রকে টিকিট বঞ্চিত করে বার বার বহিরাগত এবং জেলার অন্য সমষ্টি থেকে তুলে এনে প্রার্থী দাঁড়া করাচ্ছেন। তিনি বলেন যে জনগণ চাইছেন উনি নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করুন তিনি আরো জানান যে হাইলাকান্দির একটি ইংরেজি মাধ্যম বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানেরও তিনি চেয়ারম্যান তার স্কুলের অভিভাবক মণ্ডলী, শিক্ষক-শিক্ষয়ত্রী,অশিক্ষক কর্মচারীবৃন্দ, ছাত্র-ছাত্রী এবং স্থানীয় জনগণ গরীব মেহনতী মানুষ উনার ঘরে এসে উনাকে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্য অনুরোধ করেছেন। তিনি বলেন যে মধ্য হাইলাকান্দি বিধানসভা সমষ্টির হিন্দু মুসলমান বৌদ্ধ খ্রিস্টান জাতি ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে সবার সমর্থন রয়েছে উনার উপর। তাই জনগণের ডাকে সাড়া দিয়ে তিনি নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন এবং রেকর্ড ভোটে তিনি জিতে বিধায়ক নির্বাচিত হবেন বলে সম্পূর্ণ রূপে আশাবাদী এবং আত্মবিশ্বাসী।

LEAVE A COMMENT

Comment