বদ্রুহারা বাগান , রত্নকে হারিয়ে শোকের আবহ গঙ্গাপারের ক্লাব

বদ্রুহারা বাগান , রত্নকে হারিয়ে শোকের আবহ গঙ্গাপারের ক্লাব
গঙ্গাপাড়ের ক্লাবকে প্রথম ডুরান্ডের স্বাদ দিয়েছিলেন তিনিই ।আরশনিবার মোহনবাগানের ডুরান্ড কাপ অভিযান শুরুর ভোরেই প্রয়াত সমর 'বদ্রু' বন্দ্যোপাধ্যায়।মোহনবাগানের হয়ে সবুজ ঘাসে আলপনা এঁকেছেন টানা আট বছর । প্রিয় বদ্রুর দাপটে (1952-59) পালতোলা নৌকো ছুটেছে দুর্বার গতিতে । তথ্য বলছে, তাঁর সময়কালে এমন কোনও ট্রফি নেই যা বাগানের তাঁবুতে শোভা পায়নি । স্বভাবতই 'রত্নের'র প্রয়াণে শোকের আবহ তৈরি হয় মোহনবাগান ক্লাবে ।1952 সালে মোহনবাগানে যোগ দেন বদ্রু । জাতীয় ক্লাবে তখন চলছে শৈলেন মান্নাদের যুগ । কিন্তু অসাধারণ ফুটবল প্রতিভায় ভর করে খুব তাড়াতাড়ি একাদশে নিজের জায়গা পাকা করে নেন তিনি । প্রথম বছরে রাজস্থান ক্লাবের সঙ্গে যুগ্মভাবে বাগানের হয়ে আইএফএ শিল্ড জেতেন বদ্রু বন্দোপাধ্যায়। পরের মরশুমেই প্রথম বার ডুরান্ড জয় মোহনবাগানের । নকআউট পর্বে কার্যত মাত করে দেন বদ্রু । সেমিফাইনাল, ফাইনালে তাঁর কাঁধে ভর করেই ছুটেছিল বাগানের রণতরী।পরের বছর প্রথম বার দ্বিমুকুট জেতে মোহনবাগান । পরের মরশুমেই প্রথমবার রোভার্স আসে বাগান তাঁবুতে । তিন ফাইনালেই নজর কেড়েছিলেন 'বাগানের ঘরের ছেলে' । 2009 সালে তাঁকে 'মোহনবাগান রত্ন' সম্মান দেয় ক্লাব। ফলে এদিন ভোরবেলায় তাঁর প্রয়াণের খবর আসতেই স্বজনহারানোর যন্ত্রণা গঙ্গাপাড়ের ক্লাবে ।স্বজনহারানোর যন্ত্রণা গঙ্গাপাড়ের ক্লাবে ।শুধু কি বাগান ? রাজ্য, দেশের হয়েও সমান উজ্জ্বল বদ্রু । ফুটবলার হিসেবে শুধু নয়, বাংলাকে সন্তোষ ট্রফির স্বাদ দিয়েছেন কোচের চেয়ারে বসেও । তবে তাঁর জীবনের সেরা সাফল্য 1956 সালের মেলবোর্ন অলিম্পিক্সে । বিশ্বের সবচেয়ে কুলীন টুর্নামেন্টে নীল জার্সিধারীদের নেতৃত্ব দেন তিনি । আয়োজক দেশকে 4-2 গোলে উড়িয়ে দেয় ভারত । অজিদের বিরুদ্ধে ভারতের খেলা চমকে দিয়েছিল দেশের ফুটবলপ্রেমীদেরও । শেষ পর্যন্ত চতুর্থ স্থানে শেষ হয়েছিল দেশের জয়যাত্রা । বেলা গড়াতেই প্রিয় বাগানে নিয়ে আসা হয় তাঁর মরদেহ । শ্রদ্ধা জানান ক্রীড়ামন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস, প্রাক্তন বাগান সচিব সৃঞ্জয় বসু, ক্লাবের বর্তমান সচিব দেবাশিস দত্ত, সত্যজিত্ চট্টোপাধ্যায়রা ।
Comment