কাছাড় কলেজের শিক্ষক নিগ্রহের ঘটনার অবিলম্বে নিরপেক্ষ তদন্ত চাই,সত্য হলে জেলাশাসককে ক্ষমা চাইতে হবে -

কাছাড় কলেজের শিক্ষক নিগ্রহের ঘটনার অবিলম্বে নিরপেক্ষ তদন্ত চাই,সত্য হলে জেলাশাসককে ক্ষমা চাইতে হবে -

বরাক ডেমোক্রেটিক যুব ফ্রন্ট।

চতুর্থ শ্রেণীর পদের নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নপত্র সংগ্রহ করতে দেরি হওয়ার জন্য কাছাড় কলেজের প্রফেসর স্বদেশ রঞ্জন দাসকে নিগ্রহ করেছেন বলে জেলাশাসকের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে। অবিলম্বে সমগ্র ঘটনার নিরপেক্ষ তদন্ত দাবি করল বরাক ডেমোক্রেটিক যুব ফ্রন্ট।

বরখলার মহালক্ষি পেট্রোল পাম্পে গ্রাহক প্রতারণার অভিযোগ। জেনে নিন ক্লিক করে

এক প্রেস বার্তায় যুব ফ্রন্টের কার্যকরী আহ্বায়ক দেবায়ন দেব বলেন যে যদি এই ঘটনা সত্য হয়ে থাকে তবে তা ধিক্কার যোগ্য এবং এরজন্য জেলাশাসককে অবশ্যই ক্ষমা চাইতে হবে। কারণ কেউ সরকারি কর্তব্যে অবহেলা করলে তার বিরুদ্ধে সরকারি ভাবে ব্যাবস্থা নেবার পন্থা রয়েছে। কিন্তু একজন শিক্ষককে কানে ধরে ওঠবোস করানো অবশ্যই নিন্দনীয় এবং তা হয়ে থাকলে এটি জেলাশাসকের নিম্নরুচির পরিচায়ক। কোন সভ্য সমাজ তা মেনে নিতে পারেনা। 

Bumper offer
ক্লিক করে চলুন আমাজনে ঘুরে আসি

যুবফ্রন্টের কার্যকরী আহ্বায়ক আরো বলেন যে সংবাদ মাধ্যম সূত্রে আমরা জেনেছি যে পরীক্ষা পরিচালনার মুল দায়িত্ব যার উপরে ছিল কলেজের সেই অধ্যক্ষ্যই এই প্রফেসরকে প্রশ্নপত্র সংগ্রহের সঠিক সময় জানাননি। ফলে স্বদেশবাবু আদৌ দোষী নন। তিনি আরো বলেন এবারের এই সম্পুর্ন ঘটনার জন্য কলেজ অধ্যক্ষ দায়ী। তিনি বলেন এই অধ্যক্ষ অত্যন্ত বদমেজাজি এবং এর আগেও তাঁর দুর্বিনীত আচরনের শিকার হয়েছেন কলেজের অন্য শিক্ষকরাও।‌এমনকি জনৈক শিক্ষককে গত কিছুদিন ধরে তার নির্দেশে কলেজে প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে না। তাঁর খামখেয়ালী সিদ্ধান্তে কাছাড় কলেজে এনসিসি প্রশিক্ষণ বন্ধ হবার যোগাড় হয়েছে। সরকারি পদ বরাদ্দ না থাকা সত্ত্বেও তিনি তার জনৈক নিকটাত্মীয়কে ব্যাক্তিগত সচিব হিসাবে ত্রিপুরা থেকে এনে কলেজে  নিয়োগ করেছেন। এছাড়া তাঁর বিরুদ্ধে আরো বহু অভিযোগ রয়েছে। এসব নিয়ে তদন্ত হচ্ছে না কেন এই প্রশ্নও তুলেন তিনি।

আসাম ডাইরেক্ট রিক্রুটমেন্ট বোর্ডের তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণীর পরীক্ষার সেন্টার হাইলাকান্দিতে দেওয়ার দাবিতে হাইলাকান্দি শহীদ বেদীর সম্মুখে বিভিন্ন স্কুল কলেজের ছাত্রদের আমরন অনশন।

যুবফ্রন্টের আরেক আহ্বায়ক বাহার আহমেদ চৌধুরী বলেন যে শিক্ষক নিগ্রহের এই ঘটনায় কলেজের ছাত্র ছাত্রীরা যেভাবে প্রতিবাদ জানিয়েছে তা অভিনন্দন যোগ্য। এমনকি এই ব্যাপারে এবিভিপির ভুমিকাও সাধুবাদ যোগ্য। তিনি  বলেন এবিভিপির সাথে আমাদের আদর্শগত মতবিরোধ থাকলেও মন্ত্রী জয়ন্ত মল্ল বরুয়া যেভাবে এই সংগঠনকে নিয়ে মন্তব্য করেছেন তাতেও আমরা প্রতিবাদ জানাচ্ছি। তিনি বলেন এসব কংগ্রেসী সংস্কৃতি এবং জয়ন্তমল্ল যেহেতু কংগ্রেস থেকে এসেছেন তাই ক্ষমতার দর্পে একটি সর্বভারতীয় সংগঠনের বিরুদ্ধে এমন মন্তব্য করেছেন। তিনি বলেন প্রকৃতপক্ষে বর্তমান সরকারের অধিকাংশ মন্ত্রীরাই বিভিন্ন দল থেকে আগত এবং সবার মানসিকতাই এইরকম। তাই এসবের প্রতিবিধান জরুরী বলে মন্তব্য করেন তিনি।

বিডিএফ মিডিয়া সেলের পক্ষ থেকে এক প্রেস বার্তায় এই খবর জানিয়েছেন আহ্বায়ক হৃষীকেশ দে।

LEAVE A COMMENT

Comment