হাইলাকান্দি এস কে রায় সিভিল হাসপাতালের প্রসূতি বিভাগে চিকিৎসকের অভাব। জনমনে ক্ষোভ। প্রসূতি বিভাগে স্থায়ী চিকিৎসক নিয়োগের দাবি আম জনতা সহ বি এস ওয়াই এফের কেন্দ্রীয় সংগঠনের।

হাইলাকান্দি এস কে রায় সিভিল হাসপাতালের প্রসূতি বিভাগে চিকিৎসকের অভাব। জনমনে ক্ষোভ। প্রসূতি বিভাগে স্থায়ী চিকিৎসক নিয়োগের দাবি আম জনতা সহ বি এস ওয়াই এফের কেন্দ্রীয় সংগঠনের।

প্রসূতি বিভাগে স্থায়ী চিকিৎসক নিয়োগের দাবি আম জনতা সহ বি এস ওয়াই এফের কেন্দ্রীয় সংগঠনের।

 হাইলাকান্দি এস কে রায় সিভিল হাসপাতালের প্রসূতি বিভাগে চিকিৎসকের অভাবের দরুন চিকিৎসা পরিসেবা লাঠে উঠেছে। এমনই অভিযোগ জানিয়েছেন মধ্য হাইলাকান্দির আম জনতা সহ বি এস ওয়াই এফের কেন্দ্রীয় সংগঠন। এই হাইলাকান্দি এস কে রায় সিভিল হাসপাতালে প্রসূতি বিভাগে চিকিৎসকের অভাবের জন্য জনমনে ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছে। আজ

হাইলাকান্দি রতনপুর রোডস্থিত বি এস ওয়াই এফের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সাংবাদিক সম্মেলনে বি এস ওয়াই এফের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি আলী হোসেন মীরা এবং কার্যকারী সভাপতি দিলোয়ার হুসেইন লস্কর এক বার্তায় এই প্রতিবেদককে জানান যে হাইলাকান্দি এস কে রায় সিভিল হাসপাতালে দীর্ঘদিন ধরে প্রসূতি বিভাগে একজন চিকিৎসকের পদ খালি রয়েছে। সেই রিক্ত পদে আজ অবধি কোন স্থায়ী চিকিৎসক নিয়োগ করছে না হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। বর্তমানে প্রসূতি বিভাগে তিনজন চিকিৎসক কর্মরত রয়েছেন। এরমধ্যে একজন চিকিৎসকই সীজার করেন। বাকি দুইজন চিকিৎসক অন্য কাজে নিয়োজিত থাকেন। শুধুমাত্র তাই নয় ভুক্তভোগী রোগীদের কাছ থেকে চিকিৎসকরা টাকা ডিমান্ড করেন এবং টাকা দিতে না পারলে বেশীরভাগ রোগীদের শিলচরের মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করেন। তারা আরো অভিযোগ করে বলেন যে এই এস কে রায় সিভিল হাসপাতালের সোনোগ্ৰাফির মেসিন থাকা সত্ত্বেও হাসপাতালে সোনোগ্ৰাফি করানো হচ্ছে না। রোগীদেরকে মোটা অঙ্কের টাকার বিনিময়ে সনোগ্ৰাফির জন্য প্রাইভেটে পাঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে। তাছাড়াও প্রয়োজনীয় ঔষধ পত্রেরও অভাব রয়েছে এই হাসপাতালে। বি এস ওয়াই এফের কেন্দ্রীয় সভাপতি আলী

 

হোসেন মীরা এবং কার্যকারী সভাপতি দিলোয়ার হুসেইন লস্কর ভুক্তভোগী রোগীদের পক্ষ থেকে বলেন যে মধ্যে এই এস কে রায় সিভিল হাসপাতালের প্রসূতি বিভাগে একজন ভালো চিকিৎসক ডক্টর সাইদূল আলম বড়ভুইয়া এসেছিলেন কিন্তু অল্প কিছু দিনের মধ্যেই তিনি বদলি হয়ে যান। এরপর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ কাটলিছড়া সিভিল হাসপাতাল থেকে প্রসূতি বিভাগের চিকিৎসক ডক্টর আজগর আলীকে এনেছিলেন কিন্তু দুই সপ্তাহের মাথায় উনাকে আবার কাটলিছড়ায় স্থানান্তর করা হয়। এই রকম ভাবে ঘন ঘন চিকিৎসকদের বদলির জন্য প্রসূতি বিভাগে স্থায়ী চিকিৎসকের অভাবে মধ্য হাইলাকান্দির জনগন চিকিৎসা পরিসেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন এবং জনমনে তীব্র ক্ষোভের সঞ্চার হচ্ছে। তাছাড়াও চিকিৎসকরা হাসপাতালের মধ্যেই টাকার বিনিময়ে তাদের ব্যক্তিগত রোগীদের আগে চিকিৎসা করছেন এবং গ্ৰাম গঞ্জ থেকে আসা গরীব অসহায় রোগীদের পেছনে ফেলে দিচ্ছেন বলেও ভুক্তভোগী রোগীদের কাছ থেকে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এইসব অভিযোগের ভিত্তিতে বি এস ওয়াই এফের কেন্দ্রীয় সংগঠনের পক্ষ থেকে হাইলাকান্দির দক্ষ জেলাশাসক মেঘানিধি দাহালের হস্তক্ষেপ কামনা করে উপযুক্ত তদন্তক্রমে অতি সত্ত্বর হাইলাকান্দির এস কে রায় সিভিল হাসপাতালে প্রসূতি বিভাগে রিক্ত পদে একজন স্থায়ী চিকিৎসক নিয়োগ সহ দুর্ণীতি বন্ধের জোরালো দাবি জানানো হয়েছে। আজকের এই

 

সাংবাদিক সম্মেলনে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বি এস ওয়াই এফের হাইলাকান্দি জেলা কমিটির সহ-সভাপতি তথা হাইলাকান্দি বাসস্ট্যান্ডের সভাপতি কামরুল ইসলাম বড়ভুইয়া এবং মুখ্য উপদেষ্টা সিপ্রীয়ান ডায়াস প্রমুখ ব্যাক্তিবর্গ।

LEAVE A COMMENT

Comment